বছরখানেক আগে বালিটিকুরিতে আমাদের বাড়ি গিয়ে সেজদার সঙ্গে রিক্সা করে পুরোনো পাড়াটা ঘুরতে বেরিয়েছিলুম। আটচালার মাঠের কাছে গিয়ে আমি তো অবাক! আরে, এ যে কিছুই চিনতে পারছি না। না! কোথায় সেই পুরোনো খোলামেলা আটচালা মাঠ, কোথায় আমাদের পুরোনো বাড়িটা আর কোথায়ই বা আমার বন্ধু মায়াদের বাড়ি! চারিদিকে বড় বড় বাড়ি, পাশাপাশি, ঘেঁষাঘেঁষি। পুকুর নেই, গাছগাছালিই বা কোথায়। ছাড়া ছাড়া রেলিং দিয়ে ঘেরা এ কোন শেকল পড়া আটচালা মাঠ! কে পরালো একে শেকল! সবই কেমন অচেনা, নতুন। এদিকে আটচালা মাঠ থেকে পদ্মপুকুরের দিকে যেতে,

সুনির্মল বসুর এ কবিতা তো তোমাদের সবার মুখস্থ, আবৃত্তিও করেছ কত, তাই না! আর এটা জানো তো যে, তিনি সারাজীবন শুধু ছোটদের জন্যই লিখে গেছেন! সাহিত্য তাঁর নেশা আর পেশা হলেও, কখনই টাকা পয়সার কথা ভেবে লেখেননি তিনি। লিখেছেন লেখার আনন্দে। ছোটদের ভালোবেসে। তাঁর ছেলেবেলাটা কেটেছে ...

সে আমাদের ছেলেবেলার কথা। তখনও অ আ ক খ চিনেছি কি চিনিনি- মুখে কিন্তু সারাক্ষণ অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, আমটি আমি খাব পেড়ে। সত্যি, কী ভালো যে লাগত সেই সব আশ্চর্য লাইন! আজও তো বুকের ভেতর অ-এ অজগর, আ-এ আম। কে লিখেছেন এসব লাইন তা নিয়ে কে তখন মাথা ঘামায়! তখন তো আবার ...

আজ আমাদের গল্প শিবনাথ শাস্ত্রীকে নিয়ে। তাঁকে আমরা শিবনাথ শাস্ত্রী বলেই চিনি, জানি। শাস্ত্রী কিন্তু তাঁর উপাধি। সংস্কৃতে এম.এ.তে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে তিনি এই উপাধি পান। এই উপাধি কবে যেন হয়ে গেল তাঁর পদবি। শিবনাথ শাস্ত্রী নামেই বিখ্যাত হয়ে উঠলেন শিবনাথ ভট্টাচার্য ।